বিয়ের ১৭ বছর ডিভোর্স পর দিতে পেরে খুশিতে এক ব্রিটিশ নারী ডিভোর্স পার্টির আয়োজন করেছেন। ৪৫ বছর বয়সী দুই সন্তানের জননী সোনিয়া গুপ্ত এ আয়োজনে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের আমন্ত্রণ জানান। দ্য মিররের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘ফাইনালি ডিভোর্স’ লেখা স্যাশ পরে রঙিন পোশাকে সাজেন ওই নারী। আমন্ত্রিত অতিথিদেরও তিনি ঝলমলে উজ্জ্বল পোশাকে আসতে বলেন।
অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার সোনিয়া নিজের মতো করে পার্টির সব আয়োজন করেন। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন। তাঁর কার্যক্রম দেখে সবাই তাঁকে আলাদা করে চেনেন। সোনিয়া জানান, বিয়ের পর তার হৈ হুল্লোড়পূর্ণ জীবন বদলে যায়। আনন্দঘর স্বভাবের পুরোপুরি বিপরীত ছিল তাঁর নতুন জীবন। ফলে এ সম্পর্ককে তিনি কখনো নিজের উপযুক্ত মনে করেননি।
ডিভোর্সের ব্যাপারে সোনিয়া বলেন, ‘পরিবারকে ডিভোর্সে ব্যাপারে জানালে তাদের কেউ আমাকে সমর্থন করেনি। কিন্তু আমার শক্তির স্তম্ভ আমার দুই ছেলে ও বন্ধুরা আমাকে দীর্ঘ যাত্রায় নানাভাবে সহায়তা করেন। সোনিয়া বলেন, ‘সাধারণতম মানুষ মনে করে, বিবাহবিচ্ছেদের পর আর কোনো জীবন নেই। এরপর আপনার জীবন শেষ। কিন্তু বাস্তবে আমি সবেমাত্র শুরু করেছি। এ বছরগুলোতে আমি অনেক কিছু শিখেছি। অনেক দৃঢ়চেতা ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছি।
আমি আমার পুরোনো ব্যক্তিত্ব ফিরে পেতে চাইছি। আমি মনে করি, আমি এখন কারাগার থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি এবং এখন সত্যিই আমার সেরা জীবন যাপন করছি।’ ডিভোর্স পার্টি আয়োজনে এশিয়ান সিঙ্গেল প্যারেন্ট নেটওয়ার্ক থেকেও সহায়তা লাভ করেন বলে সোনিয়া জানান। মূলত বাবা-মাকে দেখাতেই এ পার্টির আয়োজন করেন তিনি। পরবর্তীতে তারা সোনিয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।
২০০৩ সালে ভারতে সোনিয়া গুপ্তের বিয়ে হয়। কয়েক বছর যেতেই নিজেকে তিনি অসুখী হিসেবে চিহ্নিত করেন। তদুপরি অনেক বছর নতুন সম্পর্ককে সাজাতে নানাভাবে চেষ্টা করেন। মূলত ২০১৮ সালে ডিভোর্স কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু তা কার্যকর হতে তিন বছর অতিবাহিত হয়। আদালতের নানা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে অবশেষে তাদের বৈবাহিক জীবন শেষ হয়।
সূত্র : দ্য মিরর
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।